<Transparent Logo
Scroll down

ulaichandi

উলাইচণ্ডী
৭ মে, ২০২০

বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বৈশাখী পূর্ণিমার পুণ্য তিথিতে গোটা বাংলা জুড়ে অনুষ্ঠিত বহু অনুষ্ঠানের মধ্যে উলা বা বীরনগরের উলাইচণ্ডী পুজো অন্যতম। বহু প্রাচীন এই পার্বণটির কালে-কালে বদল ঘটেছে। পালটেছে এক কালের সমৃদ্ধ গ্রাম উলার নাম শুধু নয়, অতীত গরিমাও। মহামারিতে উনিশ শতকের মাঝামাঝি প্রায় জনশূন্য হয়ে গিয়েছিল এই জনপদ। সে-কাহিনির পাশাপাশি উলাইচণ্ডী ওলাইচণ্ডী বা ওলাবিবির কথা বর্তমান করোনা বিধ্বস্ত লকডাউন-সময়ে প্রাসঙ্গিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে এই পুস্তিকায় দু-মলাটের মধ্যে়। ...

কী আছে ভিতরে

বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বৈশাখী পূর্ণিমায় গ‍োটা বাংলা জুড়ে হয় নানা উৎসব। ওই তিথিতে নদিয়ার উলা বা বীরনগরে পালিত উলাইচণ্ডীর পুজো ও মেলা তার অন্যতম। মনে করা হয় শ্রীমন্ত সওদাগর সিংহলযাত্রার সময় তখন উলার পাশ দিয়ে বহমান ভাগীরথী দিয়ে যাওয়ার সময় সপ্তডিঙা থেকে নেমে এই পুজো শুরু করেন। কিন্তু চণ্ডী তো হাড়ির ঝি—অন্ত্যজদের ঘরেই তার জন্ম,তাদেরই দেবীকে পুজোর প্রধান অধিকার। ধীরে-ধীরে উলা-বীরনগরে কৃষ্ণচন্দ্রের পৃষ্ঠপোষকতায় বহু ঘর ব্রাহ্মণকে বসানোর পর উলাইচণ্ডী পুজোরও দখল চলে যায় উচ্চবর্গীয়দের হাতে। সময়ের গতিতে ওলাওঠা-ম্যালেরিয়া ছড়িয়ে পড়ে আমাদের দেশে। ওলাইচণ্ডী বা ওলাবিবি হয়ে ওঠেন ওলাওঠা থেকে ত্রাণ পাওয়ার দেবী,নানা জায়গায় গড়ে ওঠে তার থান। উনিশ শতকের মাঝামাঝি উলা বা বীরনগর প্রায় জনশূন্য হয়ে যায় ম্যালেরিয়ার দাপটে। এই মারণ রোগ নিয়ে নানা বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা বা গ্রন্থ-সাময়িকপত্র প্রকাশ সত্ত্বেও ওলাইচণ্ডীর পুজোও চলতে থাকে। বিজনগ্রাম বীরনগরে বর্তমানেও সে-পুজঅনুষ্ঠিত হয় উত্তরপাড়ার বিন্ধ্যবাসিনী ও মহিষমর্দিনী পুজোর সঙ্গে-সঙ্গেই। উলা বা বীরনগরের অতীত,উলাইচণ্ডী-ওলাইচণ্ডী-ওলাবিবির ইতিবৃত্ত ও ওলাওঠার বাংলায় প্রভাবের কথা তুলে ধরা হয়েছে 'সমাচার দর্পণ'-এর মতো সেকালের সংবাদপত্র, কুমুদনাথ মল্লিকের 'নদীয়া কাহিনী', সৃজননাথ মিত্র মুস্তৌফীর 'উলা বা বীরনগর', অক্ষয়চন্দ্র সরকার-এর 'উলা বা বীরনগর', নবীনচন্দ্র সেনের 'উলা' বা রবীন্দ্রনাথের ‘ওলাউঠার বিস্তার', দীনেশচন্দ্র সেনের স্মৃতিকথা প্রভৃতি প্রামাণিক গ্রন্থ ও রচনা থেকে।ডাউনলোড করুন

প্রকাশকাল: ৭ মে, ২০২০
প্রচ্ছদ: সৌম্যদীপ
শিল্প-নির্দেশনা: সোমনাথ ঘোষ

সম্পাদক: সৈকত মুখার্জি

গ্রাহক হোন
হরপ্পার গ্রাহক হতে গেলে বছরে তিনটি সংখ্যার জন্য মোট পাঁচশো টাকা দিতে হয়। (ডাকমাশুল আলাদা)
যোগাযোগ করুন ই-মেলে অথবা ফোনে কথা বলুন।

সরাসরি প্রাপ্তিস্থান
• হরপ্পার পরিবেশক পশ্চিমবঙ্গে অক্ষর প্রকাশনী, ১৮এ টেমার লেন, কলকাতা-৯ ও বাংলাদেশে বাতিঘর।
• কলেজস্ট্রিটে পাতিরাম, ধ্যানবিন্দু, দেজ, দে বুকস্টোর, উল্টোডাঙায় সুনীলদার দোকান, রাসবিহারী মোড়ে কল্যাণদার দোকান, রিড বেঙ্গলি বুক স্টোর, শান্তিনিকেতনে রামকৃষ্ণর দোকানের মতো বহু স্টলে হরপ্পা নিয়মিত পাওয়া যায়। এছাড়া অনলাইনে হরপ্পা বিক্রি হয়।
• পত্রিকা পেতে আপনি দপ্তরেও মেল করতে পারেন।

মুদ্রিত সংখ্যা
হরপ্পার যাত্রা শুরু ২০১৭-র অক্টোবর মাসে চতুর্মাসিক পত্রিকা হরপ্পা লিখন চিত্রণ-এর প্রকাশলগ্নে। মূলত সাহিত্য পত্রিকা হিসেবে হরপ্পা আত্মপ্রকাশ করে বাংলার শিল্পসংস্কৃতি আচার অনুষ্ঠান রীতিনীতি পালাপার্বণ প্রভৃতি নানা বিষয়কে দু-মলাটের ভিতর নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরার লক্ষ্যে। দেখবেন চলুন...