<Transparent Logo
Scroll down

aranyasasthii

অরণ্যষষ্ঠী
২৮ মে, ২০২০

মাস বা ঋতু অনুযায়ী ষষ্ঠীর ব্রতকে সাজালে বাংলা বছরের প্রথমে জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লা ষষ্ঠীতে উদযাপিত হয় অরণ্যষষ্ঠী। বনে গিয়েই এ ব্রত পালনের কথা হলেও এখন বন কোথায়! তাই বনে না-গিয়ে ঘরেই জোগাড়যন্ত্র করে সিঁদুর-মাখানো নোড়াকে মা ষষ্ঠী জ্ঞানে পুজো করতে বসে বউ-ঝিরা। আবার একই তিথিতে পালিত জামাইষষ্ঠীর জনপ্রিয়তায় কীভাবে চাপা পড়েছে অরণ্যষষ্ঠীর মতো প্রাচীন লৌকিক প্রথা তারও ইঙ্গিত রয়েছে এই সংকলনে। সঙ্গে রয়েছে এই আমফান বিধ্বস্ত পরিবেশে বনসৃজনের আবেদন। ...

কী আছে ভিতরে

মাস বা ঋতু অনুযায়ী ষষ্ঠীর ব্রতকে সাজালে বাংলা বছরের প্রথমে জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লা ষষ্ঠীতে উদযাপিত হয় অরণ্যষষ্ঠী। মূলত বনে গিয়েই এ ব্রত পালনের কথা হলেও এখন বন কোথায়! তাই বনে যেতে না-পারলেও ঘরেই জোগাড়যন্ত্র করে সিঁদুর-মাখানো নোড়াকে মা ষষ্ঠী জ্ঞানে পুজো করতে বসে গাঁ-ঘরের বউ-ঝিরা। একটা পাখা, পাকা আম, দূর্বা, ছ-টি নতুন বাঁশ পাতা পুজোর সামগ্রী হিসেবে রাখে। ছয় কুড়ি ছ-গাছা দূর্বা আর বাঁশপাতাকে কলাগাছের আঁশ দিয়ে বাঁধলে তবেই এক গাছা দূর্বা হয়। পিটুলির বিচিত্র আলপনা দিয়ে তার ওপর পাখা, একটি পাকা আম ও এক আঁটি দূর্বা পুজোর জায়গায় সাজানো হয়। এভাবে নানা রীতিবৈচিত্র্যের মধ্যে দিয়ে পালিত অরণ্যষষ্ঠীর ব্রতকথা কীভাবে পালটেছে, নানা সংকলনে কীভাবে লৌকিক ব্রতের ‘কথা‘র স্থানভেদে বদল ঘটেছে, ঘটেছে চরিত্রের পরিবর্তন তা তুলে ধরা হয়েছে এই পুস্তিকায়। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথায় "বেশ বোঝা যায়, হিন্দুধর্মের সুলভ সংস্করণ হিন্দুব্রত-মালাবিধান চিনির ডেলার আকারে যেন কুইনাইন পিল। লোকের মধ্যে হিন্দুধর্মের জটিল অনুষ্ঠান এবং নানা দেবদেবীর মাহাত্ম্য প্রচারের উদ্দেশ্যে তন্ত্র ও পুরাণকে ব্রতের ছাঁচ দিয়ে রচনা করা হয়েছে। খাঁটি পুরাণগুলির ইতিহাস হিসাবে একটা দাম আছে।'' আবার একই তিথিতে পালিত জামাইষষ্ঠীর জনপ্রিয়তায় কীভাবে চাপা পড়েছে অরণ্যষষ্ঠীর মতো প্রাচীন ঐতিহ্যশালী লৌকিক প্রথা তারও ইঙ্গিত রয়েছে এই সংকলনে। শেষে তুলে ধরা হয়েছে এই আমফান বিধ্বস্ত পরিবেশে বনসৃজনের প্রয়োজনীয়তা। ডাউনলোড করুন

প্রকাশকাল: ২৮ মে, ২০২০
প্রচ্ছদ: সৌম্যদীপ
শিল্প-নির্দেশনা: সোমনাথ ঘোষ

সম্পাদক: সৈকত মুখার্জি

গ্রাহক হোন
হরপ্পার গ্রাহক হতে গেলে বছরে তিনটি সংখ্যার জন্য মোট পাঁচশো টাকা দিতে হয়। (ডাকমাশুল আলাদা)
যোগাযোগ করুন ই-মেলে অথবা ফোনে কথা বলুন।

সরাসরি প্রাপ্তিস্থান
• হরপ্পার পরিবেশক পশ্চিমবঙ্গে অক্ষর প্রকাশনী, ১৮এ টেমার লেন, কলকাতা-৯ ও বাংলাদেশে বাতিঘর।
• কলেজস্ট্রিটে পাতিরাম, ধ্যানবিন্দু, দেজ, দে বুকস্টোর, উল্টোডাঙায় সুনীলদার দোকান, রাসবিহারী মোড়ে কল্যাণদার দোকান, রিড বেঙ্গলি বুক স্টোর, শান্তিনিকেতনে রামকৃষ্ণর দোকানের মতো বহু স্টলে হরপ্পা নিয়মিত পাওয়া যায়। এছাড়া অনলাইনে হরপ্পা বিক্রি হয়।
• পত্রিকা পেতে আপনি দপ্তরেও মেল করতে পারেন।

মুদ্রিত সংখ্যা
হরপ্পার যাত্রা শুরু ২০১৭-র অক্টোবর মাসে চতুর্মাসিক পত্রিকা হরপ্পা লিখন চিত্রণ-এর প্রকাশলগ্নে। মূলত সাহিত্য পত্রিকা হিসেবে হরপ্পা আত্মপ্রকাশ করে বাংলার শিল্পসংস্কৃতি আচার অনুষ্ঠান রীতিনীতি পালাপার্বণ প্রভৃতি নানা বিষয়কে দু-মলাটের ভিতর নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরার লক্ষ্যে। দেখবেন চলুন...

<