<
Transparent Logo
Scroll down

pinjarebasiya

পিঞ্জরে বসিয়া...
৫ জুন, ২০২০

লকডাউন সময়ে গৃহবন্দি সবাই। খাঁচার পাখিই আজ মুক্ত। সে উড়ছে আকাশে, বসছে বাড়ির আনাচেকানাচে। ডিম পাড়ছে, বাসা বানাচ্ছে, বাচ্চাকে বড়ো করছে। জানলা দিয়ে তাদের দেখছে বঙ্গললনা। কিন্তু কী ঘটছে তাদের মনের ভিতর, কীভাবে প্রকাশ পাচ্ছে সেসব? পৃথিবীর নানা প্রান্তে বসবাসকারী চোদ্দো থেকে আশি বছরের বয়সসীমার মধ্যের এমনই সব বাঙালি মেয়েদের করোনা বিধ্বস্ত সময়ের স্মৃতিকথা ধরা পড়ল বিশ্ব পরিবেশ দিবসে হরপ্পা প্রকাশিত পিঞ্জরে বসিয়া... শীর্ষক এই পুস্তিকায়। ...

কী আছে ভিতরে

এই ‘লকডাউন’ সময়ে আমরা সকলেই একপ্রকার খাঁচায় বন্দি। আমাদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত পরিচিত মহিলারা প্রায় অধিকাংশই কর্মরত, ঘরে বা বাইরে। ছিদ্রান্বেষীরা হয়তো সকলকেই বলবেন নারীবাদী, সোচ্চার অথবা অনুচ্চার। যে-কথা আজ আর আলাদা করে বলার কিছু নেই, সেটি সাধারণ হয়ে গেছে শিক্ষার অঙ্গ হিসেবে। পুরুষতান্ত্রিকতার খাঁচা সম্পর্কে তাঁদের কোনো দ্বিমত নেই বা থাকলেও সময়-সুযোগমতো বাস্তব জীবনে শব্দটি প্রয়োগে দ্বিধা করেন না। মাঝে-মাঝে হয়তো-বা রবি ঠাকুর-সত্যজিৎ মিলিত ঘরানায় ‘খাঁচার পাখি’ ধরনের কোনো শিল্পসম্মত ভাব নিজেদের সম্পর্কে পোষণ করেন। লকডাউন যেহেতু রাষ্ট্রীয় আরোপ, পরবর্তীকালে তা হয়তো পুরুষতান্ত্রিক অর্থাৎ অবিবেচক, নিপীড়ক তকমা পাবে। তা না-পেলেও লকডাউনের প্রভাব স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে শুরুর দিন থেকে যে পীড়ন শুরু করেছে এ নিয়ে সন্দেহ নেই। সেই ‘লকডাউন’-এর মধ্যে আমাদের সমাজের নারীরা আলাদাভাবে তাঁদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে কী ভাবছেন জানতে ইচ্ছা হয়েছিল। আশেপাশের পরিচিতদের থেকে দূরভাষে টুকটাক আলোচনা কথাবার্তায় জানাও যাচ্ছিল কিছুটা। কিছু বিষাদ, কিছু ভালোলাগা, কিছু বিরক্তির কথা। যা থেকেই এই পুস্তিকার পরিকল্পনা। কিন্তু বৃহত্তর সমাজে লকডাউন-এর প্রেক্ষিতে নারীর মনোভাব একত্রিত করার মতো ক্ষমতা বা যোগ্যতা কোনোটাই আমাদের নেই, সেটা খুব পরিষ্কারভাবে বলে নেওয়া উচিত। যে কারণে এই সংকলনকে আদৌ ‘নারীদের মনোভাব’ তকমা দেওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ আছে। যাঁরা মনোভাব প্রকাশ করেছেন তাঁরা সকলেই মধ্যবিত্ত বা উচ্চ-মধ্যবিত্ত সচ্ছল শিক্ষিত শ্রেণিভূক্ত। বাঙালি মধ্যবিত্তের স্বভাব-সম্পদ শিক্ষা-সংস্কৃতি তাঁদের করায়ত্ত। প্রত্যেকেই রুচিশীল, কিঞ্চিৎ শৌখিন, মোবাইল ফোনের দৌলতে সর্বদা সোশ্যাল মিডিয়ায় জাগরূক, ফোন ক্যামেরায় যখন-তখন ধরা পড়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য—পাখি, ফুল, আকাশ ইত্যাদি অনেক কিছুই। এঁদের মধ্যে এক চতুর্থাংশ হয়তো নিয়মিত লেখালিখি করেন, খুব মন দিয়ে ফটোগ্রাফিচর্চা করেন কয়েকজন। বাকিরা কয়েকজন অনিয়মিত ডায়েরি লেখার মতো (বর্তমানে ফেসবুক), কিছু ভালো লাগলে হাতের মোবাইলে ছবি তুলে শেয়ার করেন। সেই সব নিয়ে স্মরণীয় বছর ‘২০২০’-র ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’-এ এই সংকলন প্রকৃতিকে উৎসর্গীকৃত। একটু গভীরে গিয়ে সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণে হয়তো বোঝা যাবে বস্তুত একুশ শতাব্দীতে মধ্যবিত্ত গৃহের প্রকৃত শ্রেণি অবস্থানটিকে। নিজেদের চিনতেও হয়তো সাহায্য করবে এই সংকলন। বলা হয়েছিল লকডাউনের প্রেক্ষিতে বাইরে পাখিদের দেখে যা মনে হয়েছে, কেমন আছেন তাঁরা সেকথা স্বল্প পরিসরে লিখতে। যাঁরা নিয়মিত লেখিকা তাঁরা লিখেছেন তাদের মুন্সিয়ানা নিয়েই, যাঁরা সেভাবে প্রথাগত লেখালেখি করেন না, তাঁরা জানিয়েছেন তাঁদের অন্তরঙ্গ ভাষায়। পাঠক সহজেই বুঝতে পারবেন সে পার্থক্যটুকু। ছবি যিনি যেমন তুলেছেন তাঁর লেখায় সেগুলিই ব্যবহার করা হয়েছে, তাই আলাদা করে আলোকচিত্রীর নাম দেওয়া হয়নি, নেই ক্যাপশানও। কয়েকজন লকডাউনের সময় কাজের ফাঁকে পাখির ছবিও এঁকেছেন, একটি ব্যবহার করা গেছে। তাঁদের অনেকের আছে ফুলগাছ বা বাগানের শখ,
সে-ছবিও আছে কিছু। পাখি নিয়ে কথা কারো লেখায় বেশি কারো লেখায় কম এসেছে, কারো কাছে হয়তো তাঁর বাচ্চা মেয়ে পাখির মতো। লেখা নেওয়ার সময় লেখক অলেখক বিভাজন করা হয়নি, আলোকচিত্রের ক্ষেত্রেও তাই। কোনো নির্দেশিকা ছিল না, বানানে সমতা আনার কষ্ট প্রচেষ্টা, বা ইংরেজি শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ ছাড়া বিশেষ কিছুই সংশোধন বা পরিমার্জন করা হয়নি। এঁদের বয়স আশি থেকে তিরিশের মধ্যে। অধিকাংশই স্কুল, কলেজ বা অফিসে কর্মরতা, কয়েকজনের কাজ তাঁদের বাড়িতেই। ত্রয়োদশী দুর্গার ইস্কুলে যাওয়া লকডাউনে আপাতত বন্ধ, সে দেখেছে পাখির বাসা হারানোর ছবি। একজন রয়েছেন যাঁকে প্রতি দিন বা রাতেও কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনের জন্য বাইরে বেরোতে হয়েছে, আমাদের সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানের জন্য। তাঁর লেখা রইল সব শেষে।
আমাদের কাজ শুধু সংকলনটিকে পাঠকের হাতে পৌঁছে দেওয়া। সচেতন পাঠক পাঠের পর তাঁর দৃষ্টিতে হয়তো দেখতে পাবেন আরও অনেক কিছুই। বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ‘প্রকৃতি’-র প্রতি ‘হরপ্পা’র প্রণাম এই সংকলন। ডাউনলোড করুন

প্রকাশকাল: ৫ জুন, ২০২০
প্রচ্ছদ: সৌম্যদীপ
শিল্প-নির্দেশনা: সোমনাথ ঘোষ

সম্পাদক: সৈকত মুখার্জি

লেখক
নন্দিনী নাগ
শ্যামলী দাস
বর্ণালী পাইন
মালা ঘোষ
দুর্গা দাশগুপ্ত
ভাস্বতী ব্যানার্জী
পলাশপ্রিয়া বন্দোপাধ্যায়
প্রত্যুষা দে
সোমা ভট্টাচার্য
জয়তী বিশ্বাস
মনামী সিংহরায় মুখার্জি
প্রজ্ঞাপারমিতা কুণ্ডু
বিদিশা দত্ত
শর্মি গাঙ্গুলি
শিঞ্জিনি পাল
মাহরীন ফেরদৌস
কৌশিকী বসু
পিয়ালী বন্দোপাধ্যায়
সৃজনী সাধুখাঁ লাহিড়ী
সুচরিতা চক্রবর্তী
তিয়াসা প্রামাণিক
পিয়ালী রায়
মেঘনা বসুমল্লিক

গ্রাহক হোন
হরপ্পার গ্রাহক হতে গেলে বছরে তিনটি সংখ্যার জন্য মোট পাঁচশো টাকা দিতে হয়। (ডাকমাশুল আলাদা)
যোগাযোগ করুন ই-মেলে অথবা ফোনে কথা বলুন।

সরাসরি প্রাপ্তিস্থান
• হরপ্পার পরিবেশক পশ্চিমবঙ্গে অক্ষর প্রকাশনী, ১৮এ টেমার লেন, কলকাতা-৯ ও বাংলাদেশে বাতিঘর।
• কলেজস্ট্রিটে পাতিরাম, ধ্যানবিন্দু, দেজ, দে বুকস্টোর, উল্টোডাঙায় সুনীলদার দোকান, রাসবিহারী মোড়ে কল্যাণদার দোকান, রিড বেঙ্গলি বুক স্টোর, শান্তিনিকেতনে রামকৃষ্ণর দোকানের মতো বহু স্টলে হরপ্পা নিয়মিত পাওয়া যায়। এছাড়া অনলাইনে হরপ্পা বিক্রি হয়।
• পত্রিকা পেতে আপনি দপ্তরেও মেল করতে পারেন।

মুদ্রিত সংখ্যা
হরপ্পার যাত্রা শুরু ২০১৭-র অক্টোবর মাসে চতুর্মাসিক পত্রিকা হরপ্পা লিখন চিত্রণ-এর প্রকাশলগ্নে। মূলত সাহিত্য পত্রিকা হিসেবে হরপ্পা আত্মপ্রকাশ করে বাংলার শিল্পসংস্কৃতি আচার অনুষ্ঠান রীতিনীতি পালাপার্বণ প্রভৃতি নানা বিষয়কে দু-মলাটের ভিতর নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরার লক্ষ্যে। দেখবেন চলুন...